মাদারীপুর শিবচরে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ধাপে ধাপে কমছে শীতকালীন সবজির মূল্য। বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজিতে ভরে গেছে, কমেছে দামও। প্রথম দিকে দাম কিছুটা বেশি হলেও এখন সবজির সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে দামও কমতে শুরু করেছে। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীত যত বাড়বে সরবরাহও তত বাড়বে আর কমবে দামও।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে আলু ২০-২৫ টাকা , পেঁয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ৮০ টাকা, শিম ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, মুলা ৫-১০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০-২৫ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, ওলকপি ২০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক, কলমি শাক, পালং শাকের আটি আকারভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
তবে বাজারমূল্য ও কৃষকের প্রাপ্য মূল্যের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। তারা জানান, শীতের শুরুতে সবজির মূল্য আশানুরূপ পেলেও শীত বাড়ার সাথে সবজির মূল্য কমে যাচ্ছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে কিনে তা বাজারে অধিক মুনাফায় বিক্রি করছেন। এতে করে সবজি উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দু’পক্ষই বিপাকে পড়েছেন, সুবিধা নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার আগাম শীতের সবজি বাজারে কিছুটা বেশি আমদানি হওয়ায় দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। তারপরও বিক্রি অনেক কম হচ্ছে। শীতের সবজির সরবরাহ যত বাড়বে দাম আরও কমবে বলেও জানান তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলায় চলতি শীত মৌসুমে মোট ৯৭০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এ বছর শাকসবজির আবাদ ভালো হয়েছে। একদিকে কৃষকরা যেমন ভালো দাম পাচ্ছেন অন্যদিকে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যেই রয়েছে।