শিবচরে শীত বাড়ার সাথে সাথে কমছে সবজির দাম

মাদারীপুর শিবচর
শিবচরে শীত বাড়ার সাথে সাথে কমছে সবজির দা

মাদারীপুর শিবচরে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ধাপে ধাপে কমছে শীতকালীন সবজির মূল্য। বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজিতে ভরে গেছে, কমেছে দামও। প্রথম দিকে দাম কিছুটা বেশি হলেও এখন সবজির সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে দামও কমতে শুরু করেছে।  সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীত যত বাড়বে সরবরাহও তত বাড়বে আর কমবে দামও।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে,  এক সপ্তাহ আগে ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে শিমের দাম ছিল ৯০ টাকা কেজি এখন সেই শিমের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় নেমে এসেছে। পেঁয়াজ কেজি প্রতি প্রায় ১০ টাকা কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমে এসেছে নতুন আলুর দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আলুর দাম কেজি প্রতি প্রায় ১০ টাকা কমে এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি অন্যান্য সবজির পাশাপাশিজালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলার কেজি ৭ থেকে ৮ টাকা, শসার কেজি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশি গাজর কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও ৮০ টাকায় বিক্রি করা টমেটোর দাম এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পেঁয়াজের কলি প্রতি আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে । এছাড়া লাল শাক, কলমি শাক, পালং শাকের আটি আকারভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

তবে বাজারমূল্য ও কৃষকের প্রাপ্য মূল্যের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। তারা জানান, শীতের শুরুতে সবজির মূল্য আশানুরূপ পেলেও শীত বাড়ার সাথে সবজির মূল্য কমে যাচ্ছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে কিনে তা বাজারে অধিক মুনাফায় বিক্রি করছেন। এতে করে সবজি উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দু’পক্ষই বিপাকে পড়েছেন, সুবিধা নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার আগাম শীতের সবজি বাজারে কিছুটা বেশি আমদানি হওয়ায় দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। তারপরও বিক্রি অনেক কম হচ্ছে। শীতের সবজির সরবরাহ যত বাড়বে দাম আরও কমবে বলেও জানান তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলায় চলতি শীত মৌসুমে মোট ৯৭০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এ বছর শাকসবজির আবাদ ভালো হয়েছে। একদিকে কৃষকরা যেমন ভালো দাম পাচ্ছেন অন্যদিকে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যেই রয়েছে।

শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকরা শীতকালীন সবজির মধ্যে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধা কপি, শিম, লালশাক, পালং শাক, মুলা, বরবটি, গাজর, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা ইত্যাদি আবাদ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *