স্পোর্টস ডেস্ক
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছেন লিটন দাস। এদিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হওয়ায় এশিয়া কাপে থাকছেন না দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। সে হিসেবে সদ্য দলভুক্ত হওয়া এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে মুশফিক ও সাকিবের নাম আলোচনায় রয়েছে।
তবে শেরেবাংলায় গুঞ্জন, মুশফিকুর রহিমকেই সম্ভাব্য ওপেনার ধরে আগানোর চিন্তা চলছে। গত দু’তিন দিন শেরে বাংলার সেন্টার উইকেটে মুশফিকের ব্যাটিং প্র্যাকটিসের ধরনেও মিলেছে সেই আভাস।
কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ওপেনারদের শুরু থেকে মারমুখী হয়ে খেলতে হয়। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে চার-ছক্কা হাঁকাতে হয়। মুশফিককে দেখা গেল ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে তুলে মারার শটগুলেই প্র্যাকটিস করছেন।
ওপেনার হিসেবে নামার অভিজ্ঞতা আছে মুশফিকের, জানালেন তার গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
বিকেএসপিতে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ছাত্র ছিলেন মুশফিক।
সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘মুশফিক যখন খেলা শুরু করেছিল, তখন সে ওপেনই করতো। বিকেএসপিতে ওপেনার হয়েই এসেছে, এটা আমি জানি ব্যক্তিগতভাবে। পরে ক্যারিয়ারের কারণে ও মিডল অর্ডারে চলে গেছে।’
এতো বছর ধরে মিডলঅর্ডারে খেলার পর এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে ওপেনিং স্বস্তির হবে কি?
সে কথা স্বীকার করে বিষয়টি মুশফিকের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে জানালেন ফাহিম। বললেন, ‘অবশ্যই মুশফিক মিডল অর্ডারের একজন ব্যাটার, তার জন্য ওপেন করাটা সবসময় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমি জানি না ও নিজেকে কতটা প্রস্তুত করতে পারবে। কিন্তু ওর অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে। যদি দরকার হয় মুশফিক ও অন্যরাও আছে।’
তবে সত্যি মুশফিককে ওপেনিংয়ে দেখা যাবে কি না তা নিশ্চিত নয় বলে জানালেন তিনি। বিকেএসপির সাবেক হেড কোচ বললেন, ‘আসলেই মুশফিক ওপেন করবে কি না জানি না। দুজন স্বীকৃত ওপেনার আছে দলে। আলোচনাটা যদি মুশফিককে নিয়ে বেশি করি, ওই দুজন খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। দুজনকেই ব্যাক করা উচিত, যেন তারা ভালো করতে পারে। সেটা পারলে ভালো হবে। তাদের দুজনের মধ্যে যদি কেউ ইনজুরি বা ব্যর্থ হয় তখনই বিকল্প চিন্তা করা যেতে পারে।’