তারা কর্মকর্তাদের নিয়ে পদ্মা সেতুর পাড়ের শিবচরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও নভোথিয়েটারের মহাপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনির চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্যরা।
পরিদর্শন শেষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণের জন্য চেষ্টা করছি। ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনষ্টিটিউট নির্মানের জন্য আমরা জায়গা খুঁজছিলাম। আমরা এখানে যে জায়গাটা দেখলাম এটা যথেষ্ট ভালো। এখানে এ দুটো প্রজেক্টের ব্যাপারে আশবাদী হতে পারেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, বেনাপোল স্থলবন্দর, সুন্দরবন, পায়রা বন্দর, ভোমরা বন্দর, পাট, সুস্বাদু ইলিশসহ সবকিছু এখন দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলকে পিছিয়ে রাখতে বিএনপি পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। নানামুখী ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতু বন্ধ করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসিকতার জন্য তা পারেনি। পদ্মা সেতু হলো আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তির সেতু।
এদিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী জেলা পরিষদ আয়োজিত অসহায়দের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রম, শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম তালুকদার টেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।