নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের ১৯ যাত্রী নিহতের ঘটনায় চালকের ক্লান্তি এবং ঘুম দায়ী বলে মনে করছে হাইওয়ে পুলিশ।
বাসটির চালক জাহিদ হাসান (৪৫) ঘটনার আগে টানা ৩৩ ঘণ্টারও বেশি সময় গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত ছিলেন। সোমবার শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ওসি আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি বাসটির চালক জাহিদ হাসান কোনো বিশ্রাম না নিয়েই বাসটি চালাচ্ছিলেন। টানা ৩৩ ঘণ্টা ধরে গাড়ি চালানোয় তিনি ক্লান্ত ছিলেন। সকালে ঘুম চোখে বাস চালানোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। আমরা বাদী হয়ে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
উল্লেখ্য, রোববার ভোর রাতে খুলনা থেকে যাত্রী নিয়ে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৩৩৪৮) ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া থেকে ১৫ জন যাত্রী তোলে। বাসটি পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সীমানা এলাকায় এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। বাসটি এক্সপ্রেস হাইওয়ের নিচের আন্ডারপাসের গাইড ওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় বাসটির একটি অংশ আন্ডারপাসের ওপর এবং অন্য অংশ এক্সপ্রেসওয়ের ঢালুতে ঝুলে ছিল। ঘটনাস্থলেই গাড়ির মধ্য থেকে ১৪ জনের মরদেহ বের করা হয়। শিবচর হাসপাতালে মারা যায় তিনজন এবং ঢাকাতে আরও দুইজনসহ মোট ১৯ জন মারা যায়।